বিশ্বব্যাপী কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার শ্রমবিষয়ক আইনি লড়াই বেশ পুরোনো। এমনই একটি ঘটনা ঘটে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে যখন মার্লো স্প্যাথ নামক একজন কর্মচারীকে ১৫ বছর চাকুরির পর ওয়ালমার্ট থেকে বরখাস্ত করা হয় তার ডাউন সিন্ড্রোমের কারণে। পরবর্তীতে জুরি পক্ষ থেকে ওয়ালমার্টকে ১২৫ মিলিয়ন ডলারের একটি জরিমানা করে একটি রায় দেয়া হয় যার বিরুদ্ধে ওয়ালমার্ট কর্তৃপক্ষ চ্যালেঞ্জ করার কথা জানায় এবং সর্বস্তরের মানুষের জন্য একটি সুন্দর কর্মক্ষেত্র তৈরির আশ্বাস জানায়। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রতিষ্ঠানসমূহের এই ধরনের পদক্ষেপসমূহ বিরল নয়। তবে শ্রমিকদেরও নিজস্ব অধিকার রয়েছে এবং কর্মক্ষেত্রে ভারসাম্য তৈরির জন্য পৃথিবীর সব দেশেই রয়েছে নিজস্ব কিছু শ্রম আইন। সময়ের সাথে সাথে যা পরিবর্তন এবং সংশোধিত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের প্রথম শ্রম আইন ১৯২৬ সালে তৈরি করা হয়। এই আইনটি কারখানায় কাজের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি বলে এটিকে কারখানা আইনও বলা হয়। পরবর্তীতে আইনটি বেশ কয়েকবার সংশোধন করা হলে ২০০৬ সালে একটি নতুন শ্রম আইন পাস করা হয়। নতুন আইনটিকে বাংলাদেশ শ্রম আইন বলা হয় এবং এটি কারখানা আইনের চেয়ে ব্যাপক পরিসরে শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করে। এটি পেশাগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, এবং সম্মিলিত দর কষাকষির বিধানও অন্তর্ভুক্ত করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে এসে এর আরেকটি সংশোধিত রূপ আমরা দেখতে পাই যা শ্রম আইন সংশোধনী ২০২২ নামে পরিচিত।
একজন HR প্রফেশনাল হিসেবে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনী জানা কেন জরুরি?
একজন পলিসি মেকার হিসেবে প্রতিষ্ঠানের পলিসি তৈরি কিংবা বাস্তবায়নের পেছনে চিন্তা করতে হয় অনেক কিছু। কারণ এই পলিসির সাথেই জড়িয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানের সম্মান এবং কর্মচারীর সাথে প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক। মার্লো স্প্যাথ এবং ওয়ালমার্টের সকল পরিস্থিতিতে কর্মচারী বিজিত না হলেও এ ধরনের আইনি লড়াই প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যয়বহুল এবং সম্মানের ক্ষতির কারণ। তাই বাংলাদেশ শ্রম আইন ও সংশোধনী জেনে নিয়ে পলিসি বিষয়ক সকল সিদ্ধান্ত নিন আত্মবিশ্বাসের সাথে। আমাদের সাথে শ্রম আইন সংশোধনী ২০২২ শীর্ষক ট্রেনিং এ জানতে পারবেন।
🔰 শ্রম আইন ২০২২ সংশোধনী
🔰 শ্রমিক ব্যবস্থাপনা, শ্রম ঘণ্টা এবং আইনি ধারাসমূহ
🔰 অসদাচরণ এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
🔰 স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করণীয়সহ আরও অনেক কিছু।
এই ট্রেনিংটিতে ট্রেইনার হিসেবে থাকছেন জাফরুল হাসান শরিফ। যিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী এবং ১৯ বছর ধারে কর্পোরেট আইনি ব্যবস্থা, শ্রম বিষয়ক জটিলতা, কমপ্লায়েন্স অডিট, এবং মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৬ শ্রম আইন ড্রাফটিং এ তিনি প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেছেন এছাড়াও শ্রম আইনের বিভিন্ন সময়ের সংশোধনীতে শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন।
সীমিত সংখ্যক সিটের এই ব্যাচে ভর্তি হতে Enroll করুন এখনই। ভিজিট করুন https://open.ecdl.com.bd
সাথে আরও বুঝে পান:
✅ আকর্ষণীয় ট্রেনিং ম্যাটেরিয়ালস
✅ লাইফলং LMS অ্যাক্সেস
✅ প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন
বিস্তারিত জানতে কল অথবা 𝐖𝐡𝐚𝐭𝐬𝐀𝐩𝐩 করুন +𝟖𝟖𝟎𝟏𝟕𝟔𝟕𝟖𝟎𝟒𝟒𝟎𝟖 নম্বরে।
ভিজিট করুন www.ecdl.com.bd
এমন কৌশল নেই যাতে মানুষ শ্ৰম হতে মুক্ত হতে পারে এবং চিন্তা করাটা হচ্ছে আরাে কঠিন শ্রম।
– স্যার জসুয়া ব্রেনল্ড
Leave a Reply